সামনের নির্বাচন ১০ কোটি ভোটারের একটি মুক্তিযুদ্ধ যা ব্যর্থ হতে পারেনা : তারেক রহমান

SANDWIP JUBO DOL 

🤜B N P🤛


সামনের নির্বাচন ১০ কোটি ভোটারের একটি মুক্তিযুদ্ধ যা ব্যর্থ হতে পারেনা : তারেক রহমান



'যে নির্বাচন আমরা সামনে দেখছি তা শুধু নির্বাচন বা আন্দোলন নয় বরং এটি একটি মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধের সৈনিক বাংলাদেশের ১০ কোটি ভোটার যাদের অস্ত্র হচ্ছে ব্যালট। যে আন্দোলনের নেতা এবং কর্মী ১০ কোটি সেই আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে না' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান।

যুক্তরাজ্য বিএনপির '৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক  আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং দেশে-বিদেশে যারা অনলাইনের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান দেখছেন তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছিল এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশ মানুষের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর সাত কোটি মানুষ দেখেছিল মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা নিয়ে তারা যুদ্ধ করেছিল তার কোনটি বাস্তবায়িত হয়নি। বরং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তৎকালীন পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। ব্যাংক লুট, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, হত্যা, কারাবরণ, মিথ্যা মামলা, পাটের গুদামে আগুন, পত্র-পত্রিকা বন্ধ- এমন কোনো ঘটনা ছিলনা যা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর এর আগের সময় সংঘটিত হয়নি। ঘুরতে ঘুরতে পরিস্থিতি যখন একটি মারাত্মক অবস্থায় আসলো তখন সিপাহী জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বিপ্লব সংঘটিত করেছিল। এর মাধ্যমেই আবির্ভাব হয়েছিল ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এর পরবর্তীতে আপনারা জানেন কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষক এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশ একত্রিত হয়েছিল, এগিয়ে গিয়েছিল। যে ষড়যন্ত্র, অত্যাচার, নির্যাতন শুরু হয়েছিল ৭৫ এর আগে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে- ক্ষণিকের জন্য তা থেমে থাকলেও ১৯৮০ সালে এসে তা আবার চালু হয়েছিল। বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র থেমে থাকলেও ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি। তারা তাদের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজকে বাংলাদেশ বর্তমান পরিস্থিতির আবির্ভাব।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, আজ থেকে ১০ বছর আগে বাংলাদেশে যে অবস্থা ছিল বর্তমানের সাথে মিলিয়ে দেখুন পার্থক্য বুঝতে পারবেন। দেশী-বিদেশী সকল রকম পত্রপত্রিকা, বই, খাতা ইত্যাদিতে আপনারা ঘাটতে পারেন এবং দেখতে পারেন। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোন কিছু লুকিয়ে রাখা সম্ভব না।

তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা দেখছি গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বিএনপি'র হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে গায়েবী মামলা দিয়ে বন্দী করে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং চলছে। এই সরকার বিএনপি'র হাজার নেতা-কর্মীকে গুম, খুনের মাধ্যমে গায়েব করে দেয়ার চেষ্টা করছে। আপনারা একটু পেছন ফিরে তাকালে দেখতে পারবেন যতবারই তারা ক্ষমতা নিয়েছে প্রতিবারের অবস্থায় একই রকম। একই রকম ঘটনা ঘটেছে এবং একইভাবে তারা চেষ্টা করেছে কিভাবে সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরতে হবে, গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরতে হবে, কীভাবে জনগণের উপর অত্যাচার নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাতে হবে।

দেশনায়ক বলেন, আজকে যখন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টা চলছে তখন শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র। বিএনপির বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করছে। বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। বিএনপি বিশ্বাস করে একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব। আপনারা দেখেছেন গত কয়েক দিনে হাজার-হাজার, লক্ষ-লক্ষ মানুষ আমাদের পল্টন অফিসে এসেছে। এখানে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে সবাই আমাদের নেতা-কর্মী নয়।  এখানে সাধারণ জনগণের উপস্থিত আছে। এই উপস্থিতি বলে দিচ্ছে দেশের মানুষ কি চায়। এই উপস্থিতি বলে দিচ্ছে দেশের মানুষ এই অবস্থার পরিবর্তন চায়।

তিনি বলেন, আপনারা পত্রপত্রিকায় দেখেছেন বর্তমানের খয়ের খাঁ নির্বাচন কমিশন একটি চিঠি ইস্যু করেছে পুলিশের আইজিকে। যাতে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো মনোনয়নপত্র নিয়ে শোডাউন করতে পারবে না। তাদের এই চিঠি ইস্যু করার কারণ হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল দেখে তারা ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেযে জনগণ একত্রিত হয়েছে তা বন্ধ করার জন্য এই খয়ের খাঁ নির্বাচন কমিশন দিয়ে এই চিঠি ইস্যু করিয়েছে। কিন্তু জনগণ গত দুই দিনে এবং রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেটের এবং ঢাকার জনসভায় দেখিয়ে দিয়েছে‌। প্রত্যেকটি জনসভায় মানুষ বলে দিয়েছে তারা বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন চায় এবং বর্তমান অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে চায়। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে জনসভায় বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারন মানুষের ঢল ঠেকাতে। কিন্তু সরকার সক্ষম হয়নি। দুইদিন, তিনদিন, সাতদিন আগে থেকে তারা জনসভার এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে, গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু গ্রেপ্তার করেও তারা বিএনপির নেতাকর্মী এবং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকে আমাদের আন্দোলনে নতুন মাত্রা এবং নতুন যাত্রা আমরা শুরু করেছি। এই আন্দোলন হলো নির্বাচন আন্দোলন। এই আন্দোলনের নেতা-কর্মী শুধু আমাদের দলের একার নয়। এই আন্দোলনের এবং নির্বাচন নামক এই সংগ্রামের নেতা এবং কর্মী বাংলাদেশের ১০ কোটি ভোটার। যে আন্দোলনের নেতা এবং কর্মী দশ কোটি সেই আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে না।

তিনি বলেন, আজকে এই অবৈধ সরকার খুব সূক্ষ্মভাবে নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য ইভিএম নিয়ে এসেছে। কারণ তারা জানে- জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং দেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এবং মানুষের সমন্বয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা সরকার দমিয়ে রাখতে পারবে না। যুক্তরাজ্যের মতো দেশে ইভিএম দিয়ে নির্বাচন হয় না। যুক্তরাজ্য গণতন্ত্রের একটি পাদপীঠ। এই দেশে তারা ইভিএম ব্যবহার করে না। আমেরিকায় ব্যবহার করেছিল সেখানেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ভারতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে এবং তাদের এক সংসদ সদস্য দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ইভিএম দিয়ে ভোট কারচুপি করা যায়। এতদিন তারা সরাসরি ভোট চুরি করত এখন ইভিএম দিয়ে তারা ভোট ডাকাতির ইতিহাস করতে চায়। চার হাজার কোটি টাকা দিয়ে তারা ইভিএম কিনেছে। এর মাধ্যমে একদিকে তারা যেমন জনগনের টাকা লুটপাট করেছে অন্যদিকে তারা জনগণের ভোট লুটপাটের চেষ্টায় ব্যস্ত ।

তিনি আরো বলেন, তারা এখন চেষ্টায় রয়েছে জনগণ এবং আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি করার। বিতর্কিত খয়ের খাঁ নির্বাচন কমিশন বলছে যেখানে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হবে। আজকে আমি দেশ প্রেমিক সকল সেনাবাহিনীর সদস্যদের আহ্বান করবো দয়া করে আপনারা এই অবৈধ সরকারের সাথে গিয়ে জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন না। যেহেতু জনগণ আপনাদের সম্মান করে আর আপনারা ও জনগণের অংশ এবং জনগণের অংশ হিসাবে আপনারা জানেন জনগণ কি চায়। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আহবান থাকবে- এই অবৈধ আওয়ামী লীগের চার হাজার কোটি টাকার চুরিতে নিজেদেরকে অন্তর্ভুক্ত করবেন না। একজন সেনা প্রধানের সন্তান হিসাবে আমার আহ্বান থাকবে অবৈধ সরকারের ভোট ডাকাতি কর্মসূচিতে আপনারা নিজেদের জড়িত করবেন না।

দেশনায়ক বলেন, আজকে আমরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পাচ্ছি প্রশাসনিক সেক্টরে বিশেষ করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টেকে এই সরকার বলে বেড়াচ্ছে যারা গত দশ বছরে চাকরি পেয়েছে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আছে তাদের চাকরি থাকবে না। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সময় চাকরি পেয়েছে। এই মিটিংয়ে দাঁড়িয়ে আমি আমার দলের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রশাসনের সকলকে স্পষ্ট করে বলতে চাই বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট আগামীতে সরকার গঠন করলে পুলিশ এবং সিভিল প্রশাসনের কোথাও অন্যায় ভাবে কারো চাকরি যাবে না। প্রত্যেকের চাকরি থাকবে। আওয়ামী লীগ যা আপনাদের কে বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। কাজেই প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং কর্মচারী ভাইয়েরা আপনাদের কোন ভয় নেই। আমরা জানি এই অবৈধ সরকারের বিভিন্ন এমপি এবং মন্ত্রীরা আপনাদেরকে বাধ্য করেছে বিভিন্ন অন্যায় কাজ করতে। আমরা বুঝি এবং আমরা জানি আপনাদের কে তারা বাধ্য করেছে। আপনারা জনগনের সাথে প্রতিদিন ওঠাবসা করেন আপনারা জানেন বাংলাদেশের মানুষ আজকে কি চায়। বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলাদেশের নাগরিক আপনারাও। কাজে আমার আহ্বান এবং অনুরোধ থাকবে- আমি যে গ্যারান্টি দিয়েছি ইনশাল্লাহ আমার দল সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। আপনারা জনগণের সেবক হিসেবে আপনাদেরকে অবস্থান নিতে হবে। আমার আহবান থাকবে আসুন জনগণের প্রতি সেই পবিত্র দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন নামক আমাদের যে আন্দোলন বা আন্দোলন নামক আমাদের যে নির্বাচন তা কিন্তু শুধু নির্বাচন নয়। এটি জনগণের গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এটি স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন। এটি বাকস্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন। এটি বাংলাদেশের মিডিয়াকে ডিজিটাল আইন থেকে মুক্ত করার নির্বাচন। এটি সেই নির্বাচন যা ফেলানী হত্যাকাণ্ডের জবাব দিবে। এটি সেই নির্বাচন যা সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের জবাব দিবে। এটি সেই নির্বাচন যা আমাদের দেশ প্রেমিক ৫৭ জন সেনাহত্যার জবাব এনে দিবে। গত দশ বছরে দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা যে পাচার হয়েছে সেই পাচার রোধ করার নির্বাচন। নকল এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করার নির্বাচন এটি। এই নির্বাচন গুম হয়ে যাওয়ায় ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ আমাদের হাজারো নেতাকর্মীর বিচারের দাবিতে নির্বাচন। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার নির্বাচন। দেশের সকল জ্ঞানী-গুণী মানুষের সম্মান রক্ষার নির্বাচন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী এবং যুবক সম্প্রদায়ের ওপর যে আন্দোলন করা হয়েছে তার প্রতিবাদ এ নির্বাচন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে নতুন প্রজন্মের যারা আন্দোলন করেছিল এবং তাদের উপর যে হেলমেট লীগ আক্রমণ করেছিল তার জবাব দেয়ার নির্বাচন।

তিনি আরো বলেন, প্রিয় দেশবাসী; যে নির্বাচন সামনে আমরা দেখছি তা শুধু নির্বাচন বা আন্দোলন নয় বরং এটি একটি মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালে আমাদের বড়রা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তা সময় সময় চলেছে এবং বর্তমানেও চলছে। কাজেই তরুণ প্রজন্ম যারা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে করেছিল তাদের জন্য এটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মুক্তিযুদ্ধ।

দেশনায়ক বলেন, আজকে অবৈধ সরকার জনগণ, বিএনপিসহ ২৩ দলীয় জোট,  ঐক্যফ্রন্টের একতা দেখে ভীত। এই একতা ভাঙার জন্য তারা চেষ্টা করবে। তারা চেষ্টা করবে তাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রক্ষা করার জন্য আমাদের একতা ভাঙতে। চেষ্টা করবে ভয় দেখাতে এবং বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রকাশ করবে। বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা করবে। আমাদের সকলকে এই বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী এ ব্যাপারে সচেতন। গত দশ বছরে তারা যে ঐক্যকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে সে ঐক্যকে তারা শত প্রলোভন এবং ভয়-ভীতির কারনে নষ্ট হতে দিবে না। আজকের এই একতা শুধু বিএনপি'র মধ্যে নয় এই ইউনিটি আমাদের সকলের মধ্যে ধরে রাখতে হবে। তারা ছদ্মবেশে আমাদের দলের মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করবে এবং বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। এবং এই একতাকে নির্বাচন নামক আন্দোলন পর্যন্ত আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শুধু নিয়ে গেলেই হবে না আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে এই নির্বাচন নামক মুক্তিযুদ্ধে যেখানে ১০ কোটি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধাকে আমাদেরকে নিয়ে যেতে হবে মুক্তিযুদ্ধে অর্থাৎ ভোটকেন্দ্রে। ভোটকেন্দ্র হবে ভোটের দিন যুদ্ধ কেন্দ্র এবং সেই যুদ্ধের সৈনিক হবে ১০ কোটি ভোটার। এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিবে ১০ কোটি ভোটার এবং উৎসাহ দেবে আমার দলের নেতাকর্মীরা। এই দশ কোটির মুক্তিযোদ্ধার হাতিয়ার কোন বন্দুক হবে না তাদের হাতিয়ার হবে ব্যালট। কাজেই আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দেব। এবং আমাদের স্লোগান হবে 'ধানের শীষ'।

তিনি আরো বলেন, আমার দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে আমি একটি পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করতে চাই। গত ১০ বছর ধরে আমরা অত্যাচার, নির্যাতন, কেস-কাচারি গুম-খুন সবকিছু উপেক্ষা করে, ত্যাগ স্বীকার করে এই দলকে ধরে রেখেছি। আগামী দিনে আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই দশ কোটির মুক্তিযুদ্ধকে একত্রিত করা এবং সংগঠিত করে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। এই দায়িত্ব আমি আমার বাংলাদেশের উত্তর- দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সকল নেতাকর্মীকে অর্পণ করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আমার দলের প্রত্যেকটির নেতাকর্মী এই দায়িত্ব পালন করার যোগ্য। আমি একই সাথে আজকে আমার তরুণ প্রজন্মের যুবক এবং তরুণ ভাই-বোনদের একটি আহ্বান জানাতে চাই বিশেষ করে তোমরা যারা নিরাপদ সড়ক করতে চেয়েছিলে। তোমাদের বাংলাদেশ আজ সাহায্য চায়, বাংলাদেশ আজ তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। যেভাবে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে তোমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে সেভাবে যদি তোমরা তোমাদের বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে চাও তাহলে ভোটযুদ্ধের দিন তোমাদেরকে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। যদি তোমরা এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে পারো তাহলে তোমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে।

সর্বশেষ তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় তোমরা কবি রকিব লিখন এর একটি কবিতা সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে শ্লোগান আকারে ছড়িয়ে দিয়েছিলে। সেদিনের সেই স্লোগানটি আজ সারা দেশে বিখ্যাত হয়ে আছে। আজ সেই শ্লোগান দিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করতে চাই...
'যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ
যদি তুমি রুখে দাড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ'।

Comments

Popular posts from this blog

ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দু:শাসনের শৃঙ্খলে মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে - তারেক রহমান

এই মাত্র পাওয়া খবর ‘রোববার জামিন পাবেন খালেদা জিয়া’

কে এই ক্রিমিনাল? এর নাম পরিচয় কি!!?