কৌশলী আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করবে বিএনপি

কৌশলী আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান 
সৃষ্টি করবে বিএনপি


দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী বৈঠক করেছে বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট। বৈঠকে নতুন তিনটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করলেও ২০ দলীয় জোটের নাম অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানান বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।২০ দলীয় জোটের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব .) অলি আহমদ বীরবিক্রম।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় ডাক্তারের নির্দেশে এবং হাই কোর্টের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পেরণ করা হয়েছিলো কিন্তু তার চিকিৎসা কতটুকু হয়েছে বা হয়নাই এ বিষয়ে চিকিৎসকরা কোন কিছু জানায়নি।

আমরা মনে করি একতরফাভাবে অন্যায়ভাবে অসুস্থ অবস্থায় তাকে আবার পরিত্যাক্ত কারাগারে পেরণ করা হয়েছে। এটা তাকে হত্যার একটা ষড়যন্ত্র।তিনি বলেন,আমরা আশা করে ছিলাম বেগম জিয়াকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন। আদালতের নির্দেশকে তারা সম্মান করবেন। তিনি বলেন তার চিকিৎসার কি অবস্থা তার পরিবারও জানে না। আমরা এই মিটিং থেকে দাবি করি তার সুচিকিৎসা করা হোক।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া ২০ দলীয় জোট নির্বাচনের চিন্তা কখনো করে না। আমরা আমাদের নেত্রীকে ফিরে পেতে চাই, আর এইজন্য আন্দোলন হবে। ২০দলীয় জোট একটি আন্দোলনের জোট, জনগণের কাছে তার পরিক্ষায় উত্তীন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে ছিলাম, সরকার তার এজেন্ট দিয়ে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দিয়ে আমাদের বিপদগামী করেছে, বিভ্রান্ত করেছে। আমরাও আগামী আন্দোলনে কৌশলী হবো। এবং জনগনকে নিয়ে এমন গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করবো। যাতে সরকার দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

তৃণমূলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, তফসিল ঘোষনা হয়েছে কিন্তু নির্বাচনী আমেজ নাই। দেয়ালে দেয়ালে নির্যাতন ও নেতাকর্মীদের মুক্তির পোষ্টার দেখে বুঝা যায় জনগণ প্রস্তুত। কর্মীবাহিনী প্রস্তুত এখন দায়িত্ব হলো সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।বিগত সময়ে এবং এখনো গ্রেফতার হচ্ছে কিন্তু আন্দোলন থেমে নাই।

সফলতা, ব্যর্থতা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। আমরা অনেক দূর এগিয়ে আসছি আশা করি জয় আমাদের পক্ষেই আসবে।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান,খন্দকার মোশাররফ হোসেন,ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির ড. রেদওয়ান আহমেদ, জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাপার মোস্তফা জামাল হায়দার, জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ব্যারেস্টার তাসমিয়া প্রধান, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী প্রমুখ। সংবাদ উৎস – আমাদের সময়


Comments

Popular posts from this blog

✴গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রামী জীবন✴

তেতুল এখন মিষ্টি …অনেক অনেক অনেক মিষ্টি…।

তুমি কেডা? নুরুল হুদা আর বেহুদা: রব